রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫
২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও খুমেক অভ্যন্তরে ওষুধের দোকান চালুর পাঁয়তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২, ২০২৫

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও খুমেক অভ্যন্তরে ওষুধের দোকান চালুর পাঁয়তারা
খুলনা মেডিকেল কলেজের অভ্যন্তরে মন্ত্রণালয় নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ওষুধের দোকান চালু এবং ফিজিওথেরাপিস্টকে ঘন্টার পর ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। 
খুলনা মেডিকেল কলেজের মাল্টিপারপাস ভবনের নিচ তলায় যেখানে ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের কার্যক্রম  চলমান রয়েছে সেখানে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে একটি অবৈধ ওষুধের দোকান গড়ে ওঠে। জেলা যুবলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক শেখ সুজনের পৃষ্ঠপোষকতায় দোকানটি মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও চলে আসছিল। ফ্যাসিস্ট  সরকার পতনের পর আরো একটি গ্রুপ ভোল পাল্টে বিএনপির নাম ব্যবহার করে ওষুধের দোকান চালু চেষ্টা করে। ২ দিন চালুর পর বিএনপি চিকিৎসক  নেতাদের হস্তক্ষেপে দোকানটি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু নিষিদ্ধ DAB কমিটির নেতাদের মদদে ওষুধের দোকান চালু চেষ্টা করে যাচ্ছে এই চক্রটি। গতকাল এখানে ফিজিওথেরাপিস্ট এ কে এম  মনিরুজ্জামান তার দপ্তরীক কাজে সেখানে গেলে সঙ্ঘবদ্ধ দলটি তাকে ঘিরে ফেলে এবং কয়েক ঘণ্টা আবরূদ্ধ করে রাখে। এ সময় ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডাক্তার এবিএম জাফর সাদিক কে চক্রটি সদস্যরা  অপমান করেন। এই ঘটনায় চিকিৎসকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। 
এ ব্যাপারে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন ওষুধের দোকানের কোন অনুমতি কর্তৃপক্ষ দেয়নি। এ ব্যাপারে আইনানুগ  ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0 Comments